চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রোববার(২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। কম্পিউটারের বোতাম চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এ সময় সেখানে ড. দীপু মনি ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পাসের হারে দেখা যাচ্ছে মেয়েরা এগিয়ে। এর জন্য ধন্যবাদ। জিপিএ-৫–এর দিক থেকেও তারা এগিয়ে। ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবারই দেখি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। এছাড়া, কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বলে জানা গেছে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ও ছাত্রী ছয় লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
এদিকে প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাচার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। সে হিসেবে ৩ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। যারা ফরম পূরণ করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেননি তাদের রেজাল্টও ফেল এসেছে।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
Discussion about this post