গোটা মধ্যপ্রাচ্য এখন উত্তাল। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইহুদিবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর তেহরান যেনো আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সরাসরি আমেরিকার সাথে কোন দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে ইসরায়েলে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। নতুন ধরণের শব্দহীন আধুনিক সব দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু ছুড়ছে ইসরায়েলের দিকে। কিন্তু কোথা থেকে কোন কৌশলে ছোড়া হয় ইরানের এসব মিসাইল?
পাহাড়ের গোপন সব সুড়ঙ্গ থেকে এসব মিসাইল হামলা চালিয়ে থাকে ইরান। মিসাইল গুলো ছোড়ার পরই আবার মিসাইল বহনকারী যান টানেলের ভিতরে প্রবেশ করে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমজুড়ে ভাইরাল হয়েছে ইরানের মিসাইল ছোড়ার এমন বেশ কিছু ছবি।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড আইআরজিসি এর আগে একাধিকবার ঘোষণা দিয়ে পুরো বিশ্বকে জানিয়েছে, তাদের দেশজুড়ে রয়েছে শতাধিক ভূগর্ভস্থ মিসাইল ঘাঁটি যা সাধারণ পাহাড় বা মরুভূমির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এসব স্থাপনাকে তারা ‘মিসাইল শহর’ও বলে থাকে। ইরান মিসাইল ঘাঁটিগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে করে শত্রু পক্ষ কোন হামলা করলে তারা দ্রুত পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর সুরক্ষার জন্য এসব ঘাঁটির উপরের আবরণ এতটাই নিরাপদভাবে বানানো হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে কেউ বুঝতেই পারবে না এখানে কোন মিসাইল ঘাঁটি রয়েছে।
সম্প্রতি ইরানের চালানো এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা খোরামশাহ, ফার্স ও কেরমানশাহ প্রদেশের গোপন টানেল ঘাঁটি থেকে করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব গোপন সুড়ঙ্গ ইরানের সামরিক কৌশলে একটি মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। ভূগর্ভস্থ টানেলের ভেতরে মোতায়েন রয়েছে মোবাইল মিসাইল লঞ্চার, যা সহজেই স্থান পরিবর্তন করে আঘাত হানতে সক্ষম।
কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য ইরানের পাহাড়ের নিচে তৈরি করা এসব সুড়ঙ্গভিত্তিক মিসাইল ঘাঁটি এখন বাস্তব এক চ্যালেঞ্জের নাম। অপ্রতিরোধ্য ইরানের সাথে আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়িয়ে এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা ইসরায়েলের ইহুদিদের।
এম এইচ/
Discussion about this post