সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্মে শেয়ারবাজারের একটি চক্র বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য ছড়িয়ে শেয়ারবাজার, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও বিভিন্ন শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজিকারী, গুজব রটনা করে মার্কেটকে অস্থিতিশীল করতো। এমন অভিযোগে তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন সংস্থাটির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, পুঁজিবাজার অস্থিতিশীলকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিবি প্রধান বলেন, শেয়ারবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা। দেশের অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রাম এ গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভূয়া এবং প্রতারণা মূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধীর জন্য সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছে।
সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে আসছে। এ বিষয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মামলায় তদন্ত করে মামলা সংশ্লিষ্ট ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের নামে একাধিক মামলাও আছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এসব ঘটনায় আরো যারা জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উস্কানি দিয়ে পুঁজিবাজার অস্থিতিশীলকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে বিভিন্ন সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলো থেকে বিভিন্নভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। এছাড়া উকিল নোটিশ বাহিনী গড়ে তোলার মাধ্যমে আইপিওতে আসা কোম্পানিকে রিট করা হবে বলে প্রথম ধাপে উকিল নোটিশ পাঠায়। এরপরে চাঁদা দাবি করেন সংগঠনের নেতারা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
টিবি
Discussion about this post