রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্কে কাপছে পুরো দেশ। ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত প্রায় ১৮ ইঞ্চি লম্বা রাসেলস ভাইপারের একটি বাচ্চা নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন কৃষক রেজাউল খান (৩২)।
শনিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে জীবিত রাসেলস ভাইপারের বাচ্চাটি দেখান। এ সময় পৌরসদরের ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনুসহ প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইন বোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলে। তিনি বলেন, শনিবার বিকালে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের সাইন বোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় সাপটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে ফেলেন। এরপর প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে ওই পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।
আওয়াল হোসেন বলেন, সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।
রোববার দুপুরে ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে নেওয়া হলে বন বিভাগ পত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। কারও জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।’
পুরস্কারের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসতিয়াক আরিফের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ এস/
Discussion about this post