প্রবাস খবর প্রতিবেদক : হুন্ডি বা অবৈধ পথে অর্থ পাঠানো রোধে এবার ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন প্রবাসীরা। শুধু মাত্র বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠালেই এই প্রণোদনা মিলবে।
গত ২২ অক্টোবর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত কার্যকরে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। এর আগে বিদেশ থেকে বৈধ পথে টাকা দেশে পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পেতো প্রবাসীরা। এ সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি রয়েছে।
আগে থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছিল আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। এর সঙ্গে আরও আড়াই শতাংশ পাবেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। সব মিলিয়ে প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৫ টাকা ৫৭ পয়সা পাবেন। আর এর আগে পেতেন ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা।
এদিকে চিঠি ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা নিয়েও গড়িমসি রয়েছে। তবে কিছু ব্যাংক আগে থেকে ১১৪ থেকে ১১৬ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে। বাফেদা ও এবিবির এ সিদ্ধান্তের ফলে তাদের বাড়তি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনা বৈধতা পাচ্ছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোতে ডলারের নতুন দাম কার্যকর হয়। ওই সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১১০ টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে। এর সঙ্গে সরকারি খাতের প্রণোদনা বাবদ পাওয়া যাচ্ছে আড়াই শতাংশ। ফলে প্রতি ডলারের দাম পাচ্ছেন ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা। এর সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিতে পারে আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। তবে এটি দিতে সব ব্যাংক বাধ্য নয়। ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ দিতে পারবে। ব্যাংকের ডলারের চাহিদার ভিত্তিতে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার। এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১১ অক্টোবর ছিল ২ হাজার ১০৭ কোটি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি বা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত বছরের ১৮ অক্টোবর সেই রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬১১ কোটি ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত বুধবার তা ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ডলারে নেমেছে।
Discussion about this post