ঢাকায় দায়িত্বরত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস পেশা বদল করতে চলেছেন। ঢাকায় থাকা অবস্থাতেই তিনি তার পেশা বদলের কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে দেশের একটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, পিটার হাস ফরেন সার্ভিস থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।
পেশাদার এই কূটনীতিক ভিন্ন পেশা অর্থাৎ প্রাইভেট সার্ভিসের কোনো একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। পিটার হাসের এ বছরের শেষে ঢাকা ত্যাগের কথা ছিল। তার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ডেভিড স্লেটন মিল। তিনি বর্তমানে চীনে রয়েছেন।
পিটার হাস ২০২২ সনের ১৫ই মার্চ ঢাকায় আসেন। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ সরব ছিলেন তিনি। এতে করে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। ঢাকায় আসার আগে পিটার হাস ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব এবং একইসঙ্গে অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোতে প্রধান উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের এই শিক্ষার্থী বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও তুলনামূলক সরকার উভয় বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি নেন। মার্শাল স্কলার হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল।
কূটনৈতিক পেশায়ও তিনি দক্ষতার পরিচয় রাখেন। লাভ করেন একাধিক পুরস্কার। দায়িত্ব পালন করেছেন লন্ডন, জাকার্তা, রাবাত, বার্লিন, মুম্বাইসহ পৃথিবীর নানা জায়গায়। কেবল পিটার হাস-ই নন, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বেশিরভাগ কূটনীতিক দেশে ফিরে যাচ্ছেন। আগামী বছরের শুরুতে এক ঝাঁক নতুন এবং অভিজ্ঞ কূটনীতিক ঢাকায় যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এ এস/
Discussion about this post