সূরা আল-ওয়াকিয়াহ। পবিত্র কুরআনের ৫৬তম সূরা। এই সুরার আয়াত সংখ্যা মোট ৯৬। আর এতে রুকুর সংখ্যা ৩টি। সুরা ওয়াকিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়। সুরা আল ওয়াক্বিয়ার অর্থ নিশ্চিত ঘটনা। মুফাসসিরে কিরাম বলেন, ওয়াকিয়া অর্থ কিয়ামতও বটে।
পবিত্র কুরআনে মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। প্রত্যেক সূরা পাঠেই রয়েছে বিভিন্ন ফজিলত । তবে কিছু নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সূরার আমল বা তেলাওয়াতে যে গুরুত্ব বা ফজিলত রয়েছে তা হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে।
সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত অনেক বেশি। প্রতিদিন মাগরিবের পরে এই সূরা পাঠ বা আমল করলে সে কখনো অভাব গ্রস্থ হবে না। দারিদ্রতা তাকে কখনো গ্রাস করতে পারবে না।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না।’(বাইহাকি, শুআবুল ঈমান; হাদিস, ২৪৯৮)
ইবনে কাসির ও ইবনে আসাকিরের বরাতে তাফসিরে মাআরিফুল কোরআনে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন অন্তিম রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমিরুল মুমিনীন হজরত উসমান গনী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে দেখতে গেলেন। এ সময় তাদের মাঝে শিক্ষাপ্রদ কিছু কথোপকথন হয়। তাদের সেই কথোপকথন এখানে উদ্ধৃত করা হলো-
ইবনে মাসউদ রা. আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার মেয়েরা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমনটা ভাবি না। কারণ, আমি আমার মেয়েদের জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করে। কারণ, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করবে, সে কখনো উপবাস করবে না। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮/২৬৫)
এস আই/
Discussion about this post