ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রথমবারের মতো সামরিক বিমানে করে খাবার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের এমন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই সহায়তা দেওয়া শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে তা জানাননি বাইডেন। ইতিমধ্যে জর্ডান, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ গাজায় বিমানে করে ত্রাণসহায়তা দিয়ে আসছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি কিছুই করবে। গাজায় প্রবেশ করা ত্রাণসহায়তা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্র গাজায় প্রচুর পরিমাণে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সামুদ্রিক করিডোর খোলার সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বিমানে করে ত্রাণসহায়তা দেওয়া টেকসই প্রচেষ্টা হয়ে উঠবে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা সিটির কাছে ফিলিস্তিনিরা একটি ত্রাণবাহী গাড়ির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত মানুষকে গুলি করে হত্যা করে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েল।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর তিন তারকাবিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ডেভিড ডেপটুলা বলেছেন, বিমানে করে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার পদ্ধতিটা ফলপ্রসূভাবে কার্যকর করতে পারবে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশে পরিকল্পিতভাবে বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। এই কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ, গাজার মোট জনসংখ্যার অন্তত এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় ছয় লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এফএস/
Discussion about this post