আমেরিকা ‘অবশ্যই’ প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। তবে তিনি তার ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতাকে ছোট করে দেখিয়ে বলেন, তার লক্ষ্য হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ক্লান্ত হওয়া জাতির জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
নির্বাচনের আর দুই সপ্তাহ বাকি এবং হ্যারিস ও ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যগুলোতে ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ সমান অবস্থায় রয়েছে। এনবিসি নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিসকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আমেরিকা কি প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের জন্য প্রস্তুত? উত্তরে হ্যারিস বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি বলেন, তার প্রার্থিতা শুধুমাত্র ট্রাম্প যুগের পর নতুন করে শুরু করা।
তিনি বলেন, মানুষ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এজেন্ডা ও তার পদ্ধতিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। ট্রাম্পের সবকিছু নিজেকে ঘিরেই।
এদিকে উত্তর ক্যারোলাইনাতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, এই নির্বাচন ঠিক করবে আমরা আরও চার বছরের ব্যর্থতা ও বিপর্যয় দেখব, নাকি আমরা ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ চার বছর শুরু করব। তিনি কমলা হ্যারিস ও তার সহপ্রার্থী টিম ওয়ালজকে ‘বোকা’ বলে আখ্যা দেন।
উত্তেজনা তুঙ্গে:
নির্বাচনী এই প্রচারণা অসাধারণ চাপ ও সহিংসতার আশঙ্কায় আচ্ছন্ন। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়া ট্রাম্প পরাজয় মানতে নারাজ। এটা চলমান পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে। হ্যারিস জানিয়েছেন, যদি ট্রাম্প ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় আগাম বিজয় দাবি করেন, তাহলে তার প্রচারণা দল সেই পরিস্থিতির জন্য ‘অবশ্যই’ প্রস্তুত।
এদিকে, বাইডেনও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক ছোট জনসমাবেশে তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে মজা করে বলেন, ‘আমাদের ট্রাম্পকে আটকাতে হবে’— সঙ্গে সঙ্গেই যোগ করেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আটকাতে হবে।’
এস এইচ/
Discussion about this post