প্রথম সরকারি সফরে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান যখন সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশ করে, তখন সেটিকে যুদ্ধবিমান দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। মূলত এই সফরের গুরুত্ব বোঝাতেই এমন আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
রিয়াদ বিমানবন্দরে অবতরণের পর ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি আজই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং উপসাগরীয় সম্মেলনেও অংশ নেবেন।
সৌদি সফর শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে) এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান। পরে টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা, এরপর ট্রাম্প নিজ হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন।
রিয়াদের রাস্তাগুলোতে সৌদি ও আমেরিকার পতাকা শোভা পাচ্ছিল, সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরতেই এই আয়োজন। দিনটিতে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, এক সিইও লাঞ্চনে অংশ নেবেন এবং রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।
এছাড়াও তিনি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন, ইউনেসকো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্থান দিরিয়াহ ও আত-তুরাইফ ঘুরে দেখবেন এবং দিনের শেষে যুবরাজের দেয়া রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন।
এম এইচ/
Discussion about this post