আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সব খাতে অভিন্ন হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব দিয়েছে। সংস্থাটি পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে, বার্ষিক লেনদেন তিন কোটি টাকার বেশি হয়, এমন প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা উচিত।
পোশাক, পাদুকা, এলপিজি, মুঠোফোন, বিনোদন, খাবারের ওপর কম হারে ভ্যাট (সংকুচিত ভিত্তি মূল্যে) প্রত্যাহার করার সুপারিশও করেছে আইএমএফ। এমনকি প্রবাসী আয়ে কর বসানোর প্রস্তাব করেছে আইএমএফ।
রোববার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওয়ের নেতৃত্বে একটি দল। সভায় এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এনবিআরের কর্মকর্তারা আইএমএফ প্রতিনিধিদলের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাস্তবতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চাইলেই সব করছাড় প্রত্যাহার করা যাবে না বা কর আরোপ করা যাবে না। তবে সরকার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে।
আইএমএফ ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের সার্বিক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন খাতে করছাড় কমানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিল সংস্থাটি। সেসব বিষয়ে আগামী বাজেটে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, গতকালের বৈঠকে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। আগামী অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অতিরিক্ত শুল্ক-কর আদায়ের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
গত বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে ৪৭০ কোটি ডলার। এর মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া গেছে। তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে অর্থনীতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের মিশনটি এখন বাংলাদেশ সফর করছে।
এ এস/
Discussion about this post