ভাগ্য বদলের আশাায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশির বসবাস। কাজ করছেন বিভিন্ন পেশায়। এদের কেউ জীবিত ফেরেন, আবার কেউ পরিবারের কাছে ফেরেন লাশ হয়ে। এসব প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠাতেও নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খরচ হয় বিপুল অর্থ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্য প্রবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে সেই খরচ মেটাতে হয়। এতে বিপাকে পড়তে হয় সেই প্রবাসীর পরিবার ও সহকর্মীদের। আবার অতিরিক্ত খরচ বহন করা সম্ভব হয় না বলে অনেকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকে দিনের পর দিন। বছরের পর বছর। তবে এখন প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনার খচর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র বলছে, কুয়েতে থেকে একজন প্রবাসীর মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে আগে টিকিটের মূল্য ছিল ২৫৫ দিনার, বর্তমানে যা কমিয়ে ১৭৫ দিনার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম বা সিলেটে একজন প্রবাসীর মরদেহ পাঠাতে টিকিটের মূল্য ছিল ২৭৫ দিনার, যা বর্তমানে কমিয়ে ১৯০ দিনার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একসময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের মরদেহ বিনামূল্যে দেশে পাঠানো যেত। কিন্তু ২০২০ সালের ৩১মে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিনামূল্যে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনার সেবা বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মাসে সেই খরচ কিছুটা কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
কুয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক গণমাধ্যমে বলেন, অনেকে ভাড়া কমানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সবদিক বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স খরচটা কমিয়েছে, যা অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে পাওয়া যাবে না। তবে সমাজকর্মী ও প্রবাসীরা বলছেন, পরিবার নিয়ে ভালো থাকার আশায় প্রবাসে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন অনেকে। দালালের খপ্পরে পড়ে কারও কারও তো অবস্থা খুবই করুন থাকে। তাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই কোন বাংলাদেশি মারা যাক না কেন তার মরদেহ যেন বিনামূল্যে দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়। সেই দাবিও জানান তারা।
Discussion about this post