এখন থেকে যত খুশি তত টাকার ওয়েজ আর্নার্স বন্ড কিনতে পারবেন প্রবাসীরা। এ জন্য ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ারওয়েজ কোম্পানির বিদেশস্থ অফিসে চাকরিরত অনিবাসী বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুরাও এই ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এছাড়া পেনশনারদের সুবিধার্থে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফার পরিবর্তে প্রতি মাসে মুনাফা পাওয়া যাবে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সিদ্ধান্ত ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না বিধায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো অঙ্কের অর্থ এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম’র আওতাধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে।
অন্যদিকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনঃবিনিয়োগেরও সুবিধা থাকবে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ ও আরও দুই মেয়াদে পুনঃবিনিয়োগ অর্থাৎ মোট তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এর ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ একবার বিনিয়োগ এবং আরও চারবার পুনঃবিনিয়োগ অর্থাৎ পরপর সর্বোচ্চ পাঁচ মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ জানায়, এ সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা আরও বেশি করে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে পাঠাতে আকৃষ্ট হবেন। যার মাধ্যমে ত্বরান্বিত হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
এম এইচ/
Discussion about this post