বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসী আয়। বলা যায় দেশের অর্থনীতি কতোটা সচল থাকবে তা অনেকটা নির্ভর করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর। প্রতিবছর ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের আয়ের একটা হিসেব প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রবাসী আয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সবশেষ ২০২১ সালের তথ্য প্রকাশ করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ ছয়ে থাকা দেশগুলো হলো-ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন, মিশর ও পাকিস্তান। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ অর্থাৎ ২২ বিলিয়ন ডলার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানানো হয়, মূলত সরকারি প্রণোদনা এবং দেশে পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানোর কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর ২০২১ সালে ভারতের রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ বিলিয়ন ডলার হয়, অন্যদিকে পাকিস্তানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হারকে ‘অনিশ্চিত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার হামলার শিকার ইউক্রেনে হঠাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়ে গেছে। চলতি বছর ইউক্রেনে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ২০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
Discussion about this post