চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ইয়ান পালাখ স্কয়ারে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওই বন্দুকধারীর পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও ঘটনাস্থলে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
দেশটির নোভা টিভি স্টেশন জানিয়েছে, হামলার সময় প্রাগের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবনের ছাদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসান বলেছেন, এখন পর্যন্ত একজন বন্দুকধারীর বিষয়েই নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেখানে শুধুমাত্র একজন বন্দুকধারীই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পালাখ স্কয়ারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা হঠাৎ করে সেখানে গুলির শব্দ শুনতে পান। এসময় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি শুরু করে। তবে সেখানে কী ঘটছে তা অনেকেই জানতেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসোফি ফ্যাকাল্টির এক স্টাফের কাছে এই হামলার বিষয়ে ইমেইলে আগেই একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল।
ওই ইমেইলে লেখা ছিলো, “যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। কোথাও যাবেন না। যদি অফিসে থাকেন তাহলে সেটি বন্ধ রাখুন, তালা দিন। আসবাবপত্র দরজার সামনে রাখুন, বাতি নিভিয়ে দিন।”
হামলার প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা তার নির্ধারিত সব অনুষ্ঠান বাতিল করে প্রাগের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এফএস/
Discussion about this post