নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় প্রেম প্রত্যাখ্যানের জেরে স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. কাওসার মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. কাওসার মিয়া বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের শামছুদ্দীনের ছেলে।
নিহত মুক্তি রানী বর্মণের পরিবার এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। মুক্তির পিতা-মাতা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ মে বিকেলে ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ স্কুল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার কাওসার মিয়া দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কাওসার দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল, কিন্তু মুক্তি সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, তবে ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। মুক্তির বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে কাওসারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ কাওসারকে গ্রেফতার করে এবং তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ কাওসারকে অপরাধে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার রায় হয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায় সমাজে একটি বার্তা দেবে যে নারী নির্যাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়।
এম এইচ/
Discussion about this post