নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত একটি রাষ্ট্রীয় অর্থবিল যা সরকারি ব্যয় প্যাকেজ নামে পরিচিত সেটি মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা ‘শাটডাউন’ নামে পরিচিত। খবর রয়টার্স
কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে আনা এই বিলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তারা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করলেন।
বিলটি পাস না হওয়ায় এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আরেকটি সমাধান নিয়ে আসা হবে।’
মার্কিন আইনপ্রণেতারা অর্থ বিলটি পাসে ব্যর্থ হলে মার্কিন সরকারের কার্যক্রম আংশিক ‘শাটডাউনে’ চলে যাবে। এছাড়া ২০ লাখের বেশি ফেডারেল কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তবে দ্রুত এগিয়ে আসা এই সরকারি ‘শাটডাউন’ এড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের সামনে দেখা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রীয় অর্থ বিলটির ওপর ভোট ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে সুস্পষ্টভাবে একটি ফাটল তৈরি করেছে। আগামী ২০ জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু এরই মধ্যে এ ধরনের পরিস্থিতি রিপাবলিকান পার্টির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অর্থ বিলটির পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু দলটির কট্টরপন্থি সদস্যরা ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিলটির পক্ষে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানান। বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি। আর বিপক্ষে ২৩৫টি। বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৮ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ হবে। বিলটি পাস হলে তা তহবিল জোগানোর মেয়াদ বাড়াত। একই সঙ্গে তা ঋণের সীমা স্থগিত করত।
এ ইউ/
Discussion about this post