কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়ে কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানী খাতুনের পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ বুধবার দুপুরে উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, সীমান্তে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানীর ভাই-বোনের পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এছাড়া পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে ফেলানীর মা-বাবা ও ভাই উপস্থিত রয়েছেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে ছিল ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানীর লাশ। সেই ছবি তখন দেশ ছাপিয়ে দেশের বাইরের গণমাধ্যমে প্রচার হলে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তবে এ ঘটনার কোনো বিচার আজও হয়নি।
এদিকে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তার বাবা নূর ইসলাম এই হত্যার বিচারের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন ঘণ্টা জীবিত ছিল। কিন্তু ওখানে তখন কেউ সাড়া দেয় নাই। আমার বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তবু আমি বলতেছি, আমার মেয়ে যে রকম কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলছে, আমার ফেলানীর বিচারটা যদি হইত, আগের সরকার যদি বিচার করত, তাহলে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মায়ের সন্তান ওই কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলত না, মারাও যাইত না। আমি আশা করি, আমাদের যে নতুন সরকার গঠন হয়েছে সেই সরকার কিছুতেই যেন ভারতকে ছাড় না দেয়। আমার ফেলানীর বিচারটা যেন সঠিকভাবে করে।’
এস এইচ/
Discussion about this post