প্যাকেটজাত খাবার থেকে শুরু করে শিশুখাদ্য—সবই এখন ময়লার স্তূপে ফেলা হচ্ছে। যে খাবারগুলো গাজার ক্ষুধার্ত মানুষদের বেঁচে থাকার আশ্বাস দিতে পারত, সেগুলো আজ পচে যাচ্ছে ফেলে রাখা অবস্থায়।
গাজার সীমান্ত ঘেঁষা মিশরের উত্তর সিনাই অঞ্চলের আরিশ শহরে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে কয়েক হাজার ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় ত্রাণসামগ্রীগুলোতে পচন ধরে। কোনো উপায় না পেয়ে এখন সেগুলো ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
ত্রাণে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আটা, চাল, খেজুর, শিশুখাদ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। আরিশ সরবরাহ অধিদপ্তরের প্রধান নাবিল আল-গাজাল জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের খাদ্যসামগ্রী ফেলে দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদেরকে এসব খাবার পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিল। পরীক্ষা করতেই দেখা গেল, সবকিছুই পচে গেছে।”
তবে দুই মাস পর কিছু ত্রাণবাহী ট্রাককে সীমিতভাবে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় প্রবেশ করা কিছু ত্রাণ লুট করে নিচ্ছে হামাস। এতে সহায়তা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে হামাস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্টো ফিলিস্তিনিরা দাবি করছে, রোববার একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। ত্রাণ প্রবেশে বাধা, সীমান্তে জট ও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর হাতে খাবার পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্রঃ https://youtu.be/hgoUwa3nbv8?si=OIBs0rZ4OZ-shO54
এম এইচ/
Discussion about this post