ফেসবুকে ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ বা হারানো’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।যারা ‘হারিয়ে’ বলে খবর ছড়ানো হয়েছে তারা আসলে ঘণ্টাখানেক বাড়ির বাইরে ছিলো। আবার কিছু শিশু বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়েছিলো।
শনিবার সকাল থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে বা কোন ব্যক্তিগত আইডি থেকে শিশু-কিশোর হারানোর তথ্য ফেসবুকে ভাসতে থাকে। এর বেশিরভাগই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা কেন্দ্রিক ফেসবুক আইডি থেকে ছড়ানো হয়।হেল্প ইন চট্টগ্রাম নামের একটি গ্রুপে পোস্ট করে এ জে আব্দুল্লাহ নামে একজন লিখেন, ‘আমার ফ্রেন্ডের বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তার নাম উম্মে অবতাহি, বয়স ১৪। দুপুর ১টা ২০ থেকে দেড়টার সময় সি ডি ডি এল স্কুল থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। তার পরনে ছিল স্কুলড্রেস। তাকে ওয়াসার গলিতে দেখা গেছে, এরপর আর খোঁজ মিলছে না।’ এই পোস্টটি মুহূর্তে ভাইরাল হতে দেখা যায়। ফেসবুক’র তথ্যানুযায়ী (৬ জুলাই) শনিবার বিকেলে সাইবার ৭১ এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাবের একই ধরনের পোষ্ট করেন তার পোষ্টটি ২ হাজার ৭০০ শেয়ার ও ৪৬০টি কমেন্ট পড়েছে।
এছাড়াও বেশ কয়েকজন পোস্ট দাতারা পোস্ট মুছে ফেললেও স্ক্রিনশটগুলো বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে ঘুরছে। তারা আসলে কিছুই জানেন না কে নিখোঁজ হল, কখন ফিরে আসলো কিছুই বলতে পারেন না তারা। যারা নিজেদের আত্মীয় স্বজন বা বোন কিংবা বন্ধুর বোন বলে পোস্ট দিয়েছে তাদের কোন নিকট আত্মীয় নিখোঁজ হয়নি। আসলে কেউ কেউ বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকলেও তারা ফিরে এসেছে। ফিরে পাওয়ার বিষয়টি সত্যিকারের আত্মীয় স্বজনরা জানালেও যারা না বুঝে শেয়ার করেছেন তারা আর সেটা করেন নি।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম সেল বলছে বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। যারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পোস্টগুলো নিশ্চিত না হয়ে বিশ্বাস করবেন না। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করবেন।জেনে, না জেনে যারা এসব গুজব শেয়ার করছেন তারা জানেনই না অন্যদের ওপর কী প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
এস এম/
Discussion about this post