বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জুন থেকে একটানা পাঁচদিন রাজধানী ঢাকাসহ বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বাকি টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন: বগুড়া সদর উপজেলার বড় টেংরা এলাকার জাহিদুল ইসলাম (২৯), সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের মো. পাভেল (২৫), আদমদীঘি উপজেলার তালশন কুন্ডুপাড়া গ্রামের বিপ্লব সরকার (২৮) এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ির সিংড়িয়া গ্রামের বিমল রাজভর (৩০)।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে পাভেল এবং পরে পাভেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে পাভেলের বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ দুটি এবং জাহিদুলের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এ তথ্যগুলো জানান। এর আগে গত ১৩ জুন বগুড়া শহরের মাটিডালী এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে৷
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ব্যাংক লুটের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল ইসলাম। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ জুন দিবাগত রাতে মাটিডালী ব্রিজের কাছে রাকিবসহ (ছদ্মনাম) বাকি আসামিরা একত্রিত হয়। এসময় জাহিদুলের নির্দেশে বিমল ও রাকিব আইএফআইসি ব্যাংকের পেছনে দিয়ে গিয়ে বিল্ডিংটির আশপাশে পর্যবেক্ষণ করে এবং অপর অভিযুক্তদের আসতে বলে। পরে জাহিদুল একটি টায়ার লিভারসহ ব্যাংকের বিল্ডিংয়ের পেছনে অবস্থান নেয়। এতে যুক্ত হন মিথুন ও পাভেল। এরপর জাহিদুল প্রথমে ব্যাংকের বিল্ডিংয়ে উঠে এবং পরে বিমলও তার সঙ্গে প্রবেশ করে। এসময় বাকি আসামিরা বিল্ডিংয়ের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে থাকে। এরপর জাহিদুল ও বিমল নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে মুখে মাস্ক ও মাথা পলিথিন দিয়ে ঢেকে ফেলে। পরে তারা দুজন ব্যাংকের ভেতরে সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা লুট করে। এসময় লুটের টাকা তারা ব্যাংকের ময়লা রাখা বস্তায় নিয়ে বের হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক লুটের আগে গত এক মাসে জাহিদুল একাধিকবার আসে। উপশাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল নিশ্চিত হয়ে চুরির পরিকল্পনা করে। গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
এ এস/
Discussion about this post