ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭.০৬% বেড়েছে। এর ফলে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা হয়েছে। বিদায়ী বছরে বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৯২ কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের চেয়ে যা ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ডলার। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২২ সালের শেষ মাসে যা এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৩ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। সেই তুলনায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়েনি। কারণ, ডলারের দাম বেশি পাওয়া এবং পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় হুন্ডিতে আয় পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা।
প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল থাকে দেশের অর্থনীতি। প্রবাসী শ্রমিকের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। তবে রেমিট্যান্সে সপ্তম স্থানে রয়েছে এই দেশ। তবে ২০২৩ সালের শেষদিকে রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। বিদ্যমান ডলার সংকটে এলসি খুলতে সমস্যায় পড়ছে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো। ফলে বছরের শেষ সময়ে সেগুলোকে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) নির্ধারিত দরের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি মূল্যে রেমিট্যান্স কেনে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে বছরের শেষ সময় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। অন্যথায়, এবারও কম হতো।
বাফেদা ও এবিবির নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের ডলার কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবে তারা। তবে সংকটের কারণে কিছু ব্যাংক ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা দরে ডলার কিনছে।
Discussion about this post