নির্যাতনে আসমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বাড়িতে ভাঙচুর ও ভবনের নিচে পার্কিং করা চারটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রামপুরা থানা পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে রামপুরা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, ওই বাসার একটি কাজের মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসী ও আশপাশে গৃহকর্মীরা বিক্ষোভ এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে ওই বাড়ির নিচে থাকা চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই বাড়ির গৃহকর্তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত আসমা বেগম তার মেয়ের বাসার গৃহকর্মী। ভোরে সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন আসমা ছাদে গিয়ে সেখানে থেকে পড়ে যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সকালে ওই ভবনটির মূল ফটকের সামনে গৃহকর্মীর লাশ পড়ে থাকে। এ সময় তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। লাশটি দেখে মনে হয়েছে কেউ যেন শুয়ে আছে। ছাদ থেকে পড়েছে বলে তার মনে হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিতিঝিল বিভগের উপ কমিশনার হায়তুল ইসলাম খান বলেন, ওই গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে– এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীরা বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এস আর/
Discussion about this post