কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার মোস্তাফিজুর নামের এক পুলিশ সদস্যকে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহারাদেশ দেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাওপুর গ্রামের তারা মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে ৮ বছর আগেরৌমারী উপজেলার মধ্যই ছাকুড়িগ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই ব্যক্তি রৌমারীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তাদের ঘরে একজন ছেলে সন্তান আছে। তিনি রৌমারী এলসি পোর্টে পাথর ভাঙার কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি বড়শি দিয়ে নদীতে মাছ ধরতেন। মাছ ধরার সুবাদে রৌমারী থানার কনস্টেবল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তারা মিয়ার পরিচয় হয়।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় মোস্তাফিজকে ওই যুবক তার ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যান। কনস্টেবল মোস্তাফিজ সুযোগ বুঝে তারা মিয়ার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর নেন। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলতে চলতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী স্বামী রৌমারী থানায় অভিযোগ করেন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। ওই ব্যক্তির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত করা করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ইউ/
Discussion about this post