উজান থেকে অব্যাহত পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমায় পৌঁছায় কাপ্তাই কর্ণফুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে হ্রদের পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আসায় সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে বাঁধের জলকপাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম।
এদিকে, জলকপাট বন্ধ করা হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। আজ সকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.৩৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
অন্যদিকে, পানি কিছুটা কমলেও এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন জেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। রাঙামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়িসহ অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দিরা।
শহরের ব্রাহ্মণটিলা এলাকার বাসিন্দা নূর নাহার বলেন, আজ একমাস ধরে পানির সঙ্গে বসবাস করছি। কখনো পানি বাড়ে, কখনো কমে। আমরা তেমন কোনো ত্রাণ সহায়তাও পাইনি।
কাপ্তাই পানি বিদুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার হ্রদের পানির স্তর কমছে, তাই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর গেট খোলা হবে কিনা সেটি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
এস আই/
Discussion about this post