ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে মানুষ। ভাসছে জনপদ। তলিয়ে গেছে নিজের ঘরটিও। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই মানুষের বাড়ছে দীর্ঘশ্বাস, বাড়ছে আর্তনাদও। তৈরি হচ্ছে নানা সংকট। তিনবেলার খাবার তো দূরের কথা, বিশুদ্ধ পানির জন্যও হাহাকার ভানভাসীদের।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে প্লাবিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত। খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে বসতভিটা। মাথার ওপর আকাশ ছাড়া কোনো ছাঁদ নেই সেখানে। সেই ছাঁদও অনিরাপদ করে দিয়েছে টানা বৃষ্টি। একটু আশ্রয়ের খোঁজা দিশেহারা বন্যা কবলিতরা।
এ পরিস্থিতিতে ফেনীসহ আশপাশের জেলায় বন্যা কবলিতদের পাশের দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে ফেনী রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক সমবায় সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি নুরুল আমিন ভূঁইয়া বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন।
এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, আকস্মিক বন্যায় আমাদের প্রাণের ফেনীসহ আশপাশের জেলা গুলোতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ যাবৎ কালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ফেনীর সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের এবং সমাজের সমার্থবানদের প্রতি অনুরোধ করেন, যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব বন্যার্তদের পাশের দাঁড়ানোর।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফেনীর বিভিন্ন উপজেলার রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তাদের পাশে দাঁড়ালেও দেশের সাধারণ মানুষদের তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ফেনী রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক সমবায় সমিতি।
দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙনের ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।সড়কে বন্ধ আছে যান চলাচল। লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগও।
টিবি
Discussion about this post