বরগুনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাবা ও মামলার বাদী মন্টু দাসের খুনের ঘটনায় তার পরিবারের চিকিৎসা, শিক্ষা ও দৈনন্দিন সব খরচের দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে বরগুনায় পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর শহরের টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমির বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমাদের একটি বন্ধু সংগঠনের নেতা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে থেকে এ পরিবারটির আইনিসহ সব প্রকার সহযোগিতা করতে চাই। এ সময় মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া জালিমের বিরুদ্ধে এবং মজলুমের পক্ষে সবসময় জামায়াতে ইসলামী কাজ করবে বলেও প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন জামায়াত আমির।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনিসহ দলের নেতাকর্মীরা নিহত মন্টু দাসের বাড়িতে যান। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিএনপির এই সাবেক এমপি। তার আগে রোববার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি মোবাইল ফোনে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ বরগুনায় মেয়ে ধর্ষণ মামলার তারিখের আগের রাতে বাবা (মামলার বাদী) মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মীয়রা হত্যা করেছে মন্টু দাসকে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এম এইচ/
Discussion about this post