দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সভা নেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনি ইশতেহারে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যে ইশতেহার আমরা দিয়েছিলাম, সফলভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, তা দ্বাদশ নির্বাচনের ইশতেহার রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতায় আনা। আবারও ক্ষমতায় এলে এসব বিষয় বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো বলে জানিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে রয়েছে । স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এ উত্তরণ যেমন একদিকে সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জেরও। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড, আব্দুর রাজ্জাক। এরপর বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নেতাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা ইশতেহার প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ওপর দুটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এস আর/
Discussion about this post