সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’জাহাজ জিম্মি করে তাদের উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জিম্মি দশার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের সেই অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন জাহাজের চিফ অফিসার মো. আবদুল্লাহ। গোপনে জাহাজ মালিকের কাছে ওই বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
মো. আবদুল্লাহ তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজটিতে খাবার পানির আছে অল্প পরিমাণ। যা দিয়ে আর ২০-২৫ দিন টিকে থাকা যাবে। এমনকি কার্গোগুলো একটু এদিক সেদিক হলেই অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ বিপদ আসতে পারে।
সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার পর কার সঙ্গে কী আচরণ করেছে সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। অডিও বার্তার শুরুতেই সালাম দিয়ে তার নাম বলেন। জানান, সাড়ে ১০টার সময় একটা হাইস্পিড বোট জাহাজের দিকে আসতে দেখে এলার্ম বাজানো হয়। সহায়তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যু চলে আসে।
জাহাজে উঠেই দস্যুরা ক্যাপ্টন ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। এরপর সবাইকে একসাথে করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেকেন্ড অফিসারকে হালকা মারধর করেছে তবে আর কারো গায়ে হাত তোলেনি তারা।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ফিশিং বোট নিয়ে আরও জলদস্যু আসতে থাকে। সবার হাতেই প্রায় অস্ত্র ছিলো। নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলো। এসময় তাদের বোটের তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি জাহাজের পাম্প দিয়ে তেল নিয়ে নেয়। এরপর জাহাজের ইঞ্জিনও বন্ধ করে দেয় তারা।
অডিও বার্তায় জানানো হয়, এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই ভয়ে আছে। জাহাজে থাকা সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন। একই সাথে দেশে পরিবারকে দেখে রাখার আকুতি জানান ওই কর্মকর্তা। তাদেরকে সান্ত্বনা জানানোর কথাও বলেন।
এস আর/
Discussion about this post