বাংলাদেশের ৮৩ নাগরিককে ফেরত পাঠালো মালদ্বীপ সরকার। মালদ্বীপে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এক সংবাদ সম্মেলনে মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার শামান ওয়াহেদ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘আধাধু’-কে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মালদ্বীপে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দেশটিতে গত কয়েক সপ্তাহে বেশকিছু প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, অবৈধ আবাসন, শ্রম ও ব্যবসায়িক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮৬ জন প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার শামান ওয়াহেদ জানিয়েছেন, ১২টি দেশের মোট ১৮৬ জন অবৈধ অভিবাসীদের, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসব অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশি ৮৩ জন, ভারতীয় ৪৩ জন, শ্রীলঙ্কান ২৫ জন, নেপালের ৮ জন, পাকিস্তানের ১ জন, থাইল্যান্ডের ৭ জন, ফিলিপিন্সের ৪ জন, ভিয়েতনামের ৮ জন, রাশিয়ান ১ জন, লাটভিয়ার ১ জন, ব্রাজিলের ২ জন ও নাইজেরিয়ার ৩ নাগরিক রয়েছেন। স্থানীয় আইন অনুযায়ী তাদের অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার আরও জানান, দেশটিতে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত অভিবাসী শ্রমিকদের খুঁজে বের করার জন্য পরিচালিত অভিযানে আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। শুধুমাত্র যাদের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট আছে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শামান ওয়াহেদ জানান, ইমিগ্রেশন এবং পুলিশ সপ্তাহে দুই বা তিনবার ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানগুলো কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা গ্রুপকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে না। ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের সংঘটিত অপরাধের মধ্যে ভিসা লঙ্ঘন এবং মাদক মামলা, এক মালিকের ভিসায় আসার পর অন্য মালিকের হয়ে কাজ করা বা অবৈধভাবে ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় কথা জানান তিনি।
এ এস/
Discussion about this post