ভারত ও বাংলাদেশের চলমান টানাপোড়নের মধ্যে এবার সীমান্তের উন্মুক্ত স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরু করেছে ভারত।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ২৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া ওঠাচ্ছে ভারত। মূলত জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত উন্মুক্ত সীমান্তে এই কাজ চলছে।
এর আগে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট সীমান্তের উন্মুক্ত স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বিজিবির বাধার মুখে পড়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। যদিও জলপাইগুড়িতে নির্বিঘ্নেই চলছে নির্মাণকাজ।
জলপাইগুড়ির সংসদ সদস্য ডা. জয়ন্ত কুমার রায় বলেছেন, “কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকার মধ্যে কিছু অংশে নদী রয়েছে, সেই জায়গাটুকু বাদ দিয়ে বাকি এলাকায় বেড়া দেবার বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছিলাম, বর্তমানে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর কাজটি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সীমান্ত গ্রামগুলোতে বসবাসকারী নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়বে।”
সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় জিরো পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বাহিনীর তরফে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কেন্দ্রের নির্দেশে শুধু নজরদারি বৃদ্ধিই নয়, উন্মুক্ত সীমান্তের সব জায়গায় কাঁটাতারে ঘিরে ফেলা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির সাংসদ ডা. জয়ন্ত কুমারের অভিযোগ, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অসহনীয় অত্যাচার চলছে, দেশটিতে নতুন যারা সরকারে এসেছে তাদের কাছে আমরা দাবি করব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার মানে স্বেচ্ছাচারিত নয়, আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে টুকরো টুকরো হয়ে যাব- এটা কাম্য নয়।”
বিজেপির এই সাংসদ দাবি করেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছর যেভাবে উন্নতি করেছিল এবং সেই উন্নতির ফলে ভারতও উপকৃত হচ্ছিল। তবে এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম খুবই বেড়ে গেছে। সেখানকার কৃষকরা ভালো নেই।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ বিভিন্ন দলের তথ্যপ্রমাণহীন অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ ইউ/
Discussion about this post