সকাল থেকেই সারাদেশে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শীতের সকালে শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।
খুলনা
খুলনার কেন্দ্রগুলোতেও বাড়ছে ভোটার উপস্থিতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮১ জন। ভোটার বেড়েছে এক লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৯ জন। এ বছর জেলার ৬টি আসনে ৭৯৩টি ভোট কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৭২০টি ভোট কক্ষ থাকবে। ৬টি আসনে এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৩১টি।
সিলেট
সারাদেশের মতো সিলেটে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শীত এবং কুয়াশার কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। সিলেটের ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নগরীর পাঠান টুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এসময় তারা ভোটার উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে নিজ নিজ বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যপ্ত করেন।
বরগুনা-
বরগুনা-২ (পাথরঘাটা বামনা ও বেতাগী উপজেলা) নির্বাচনী এলাকায় সন্তোষজনক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রবিবার সকাল ১১টায় বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ২৩ নম্বর জোয়ার করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে দেখা গেছে ৩১৪টি ভোট পড়েছে। দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা
অপরদিকে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সকাল থেকে দিনের প্রায় মধ্যভাগ পর্যন্ত ঢাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।অল্প কিছু কেন্দ্রে ভোটদানের সময় শুরুর আগে থেকেই ভোটাররা হাজির ছিলেন। তবে ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১০, ঢাকা-৪ সহ বিভিন্ন আসনের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লাইন বা কেন্দ্রে ঢোকা-বের হওয়ার ভিড় দেখা যায়নি।
তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে ভোট পড়ার গতি সকাল থেকে কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বৃদ্ধির আশা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা-৮ আসনের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটারদের মোটামুটি দীর্ঘ লাইন ছিলো। তবে সকাল দশটার দিকে সেই লাইন কিছুটা ছোট হয়ে আসে। ভোটের গতিও কমতে থাকে। ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করছেন শীতের সকাল তাই ধীরে আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়বে।
গাজিপুর
গাজিপুরে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে কোথাও ভোটারের তেমন কোনো লাইন দেখা যায়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো বুথে ২০ থেকে ৩০ বা সর্বোচ্চ ১০০টির মতো ভোট পড়েছে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বাইরে রয়েছে উৎসুক মানুষের ভিড়। অপরদিকে কিছুটা ভিন্ন চিত্র রয়েছে উপজেলাগুলোর ভোটকেন্দ্রে। ধারণা করা হচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভোটার উপস্থিতি।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে শহরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। সকাল ৯টায় শহরের কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে বলছে অনেকেই। এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণে কোন বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর
চাঁদপুরে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই এজেন্ট নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হলেও ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। তবুও হতাশা ব্যঞ্জক ভোটার উপস্থিতি।
এস আর/
Discussion about this post