নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের সামনে একটি কুকুর ডাকাডাকি করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে সেপটিক ট্যাংকের স্ল্যাবের ঢাকনা খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করত। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোকের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় রবিনের। পরে জুয়েলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে এলোমেলো কথাবার্তা বললে স্থানীয়রা জুয়েলকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, রবিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার সৎ মা ৫ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তারই সূত্র ধরে পুলিশ এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিখোঁজ রবিনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, সোমবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: চ্যানেল 24
এস এইচ/
Discussion about this post