টানা চার মেয়াদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কাজী সালাউদ্দিন আগামী ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। যদিও কয়েক দিন আগে তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজের পুরোনো অবস্থান থেকে সরে এনেছেন বাফুফের এই সভাপতি।
সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক চাপের কারণে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী আসন্ন ২৬ অক্টোবর হতে যাওয়া বাফুফে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানান দেশের ফুটবলের অন্যতম বড় এই তারকা।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে; আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।’
যদিও কয়েক দিন আগে আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন কাজী সালাউদ্দিন। বাফুফে সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক চাপে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে দেখা মিলল সালাউদ্দিনের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আর বাফুফে কার্যালয়ে আসেননি তিনি। তবে শনিবার হুট করেই হাজির হন দেশের ফুটবলের এ কর্তা।
জানা যায়, আসন্ন ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর টানা ১৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী সালাউদ্দিন।
এর আগে বেশ কয়েকবার নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত অংশ নেন নির্বাচনে। বেশ আগে থেকে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আরও জোরালো হয় সে দাবি। তবে সে দাবিকে পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান কাজী সালাউদ্দিন। তবে এখন ঘোষণা দিলেন বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর।
এ ইউ/
Discussion about this post