আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কী বলবে ও করবে এটা নিয়ে আমরা বিচলিত না। আমরা বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বন্ধু তো দেশে আছে, বিদেশেও আছে। এখন নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের তো বিদেশি বন্ধুদের কাছে মুখ রক্ষার বিষয় আছে।
তিনি বলেন, অস্থিরতার মধ্যেও কিন্তু আমাদের জনগণের কোথাও হাহাকার নেই। জনগণের পক্ষ থেকে কোনো বিক্ষুব্ধ আমরা লক্ষ্য করিনি। সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। আমাদের দায়িত্ব যেটা আমরা সেটা পালন করছি। আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন এই বিষয়টি নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষকে যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহারে যে বক্তব্য জনগণের কথা ছিল, সেটা বাস্তবায়নে মাথা ঘামাচ্ছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ডেকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কর্ম পরিকল্পনা দিচ্ছেন। কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। কথা বেশি না বলে কাজ করার জন্য দায়িত্বশীল সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে অংশ নেয়নি বিএনপি। এখন এটা একটা দল তার প্রাসঙ্গিকতা নিজেরাই হারিয়ে ফেলেছেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
গত সোমবার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা আইন ক্যাবিনেটে প্রথমত নীতিগত সিদ্ধান্ত করে, তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। দুইটা মিটিং লাগে। এরপর বিষয়টা যাবে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আলাপ-আলোচনা বা রিকমেন্ডেশন থাকলে সেটাসহ পার্লামেন্টে বিল আকারে যাবে। পার্লামেন্টে বিল আকারে আইনটা পাস হবে। পার্লামেন্টে আইনটি সংশোধনীর ব্যাপারে আলোচনা করারও অনেক সুযোগ আছে। তো সে ক্ষেত্রে কোন অবস্থায় স্থিতি দেবে সেটা এখন এই মুহূর্তে বলা যায় না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এফএস/
Discussion about this post