সন্তানের জন্য চকোলেট কিনতে গেলে আমরা অনেকেই দেশি পণ্য সরিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিদেশি খুঁজি। এমনকি যদি কসমেটিকস কিনতেও যাই, তখনো খোঁজা হয় বিদেশি পণ্য। ‘মেইড ইন’ দেখে পণ্য কেনার অভ্যাস আমাদের দীর্ঘ দিনের। এমনকি দেশি পণ্য দেখে নাক সিঁটকানো নাগরিকেরও কি অভাব হবে?
না, হবে না। কারণ এই দেশের মানুষেরা অনেক কাল ধরেই পণ্য ও অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বিদেশের প্রতি মুখাপেক্ষী। এমনতর মানসিকতার কারণে এখানে দেশি শিল্পের উত্তরণেও সংশ্লিষ্টদের ঢের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনকি বিদেশফেরত অনেক প্রবাসীও দেশে ফেরার পর বিদেশের সার্বিক ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। অথচ এভাবে বিদেশের প্রতি মুখ ফিরিয়ে রাখা আমরাই বিদেশি চলচ্চিত্র দেশে এনে দেখার বেলায় হয়ে যাই ব্যাপক দেশপ্রেমিক!
সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কারণে এমন প্রসঙ্গের অবতারণা। কিছুদিন আগে দেশে বানানো দুটি সিনেমার সঙ্গে একই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত একটি বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। গত ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পায় তিনটি চলচ্চিত্র—‘হুব্বা’, ‘শেষ বাজি’, ‘কাগজের বউ’। ‘হুব্বা’ নামের এই বিদেশি সিনেমায় আবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এ দেশেরই জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ওই সিনেমা তাই বেশির ভাগ হলমালিকই নিয়ে নেন। আর তখনই হঠাৎ খবর— বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।
জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন সাইমন। জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে দেওয়া তাঁর ভাষ্যটা এমন—‘সম্প্রতি সমিতির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং বিতর্কিত এ পরিস্থিতিতে সমিতির কার্যকরী পরিষদ একেবারে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় আছে। যা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার অভিনীত “শেষ বাজি” চলচ্চিত্রটি গত ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পায়। একই দিনে নিয়মনীতি না মেনে বিদেশি আর একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে এবং আমাদের অধিকাংশ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। এ কারণে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং আমার ক্যারিয়ারের যথেষ্ট ক্ষতি হলো।’
এ নিয়ে পরে বেশ কথা চালাচালি হয়েছে। শিল্পী সমিতির নেতা-নেত্রীরাও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই ‘হুব্বা’ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় ছবি দুটি মুক্তি পেলে আমদানি করা সিনেমা পর্দায় আসবে না। তবে শেষ অবধি মোশাররফ করিম অভিনীত ভারতীয় ছবি হুব্বা মুক্তি পায়। যা সিনেমা হলও পেয়েছে সর্বাধিক। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণের মন্তব্য, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার আব্দুল আজিজ অনেকটা পেশিশক্তির জোরে ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। এটা নিয়ে প্রযোজক সমিতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং আব্দুল আজিজের প্রযোজক সমিতির সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সাইমনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন না নিপুণ।
এ তো গেল সাইমনের পদত্যাগের পক্ষ-বিপক্ষের আলাপ। কেউ একে ষড়যন্ত্র বলছেন, কেউ আবার একে দেখছেন বলিষ্ঠ প্রতিবাদ হিসেবে। সেটা শিল্পী ও প্রযোজকদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ব্যাপার। তবে মূল কথা হলো অন্য জায়গায়। সেটি লুকিয়ে আছে ওপরে বর্ণিত সাইমনের বক্তব্যেই। তিনি বলেছেন, ‘…সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে…।’ প্রশ্ন হলো—বিদেশি ভাষার সিনেমা দেশে এলেই কি এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ভেসে যাবে? আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ও তদ্সংশ্লিষ্ট জগতের ভিত কি এতটাই দুর্বল?
প্রথম কথা হলো, বিদেশি ভাষার সিনেমা নিয়ে আমাদের দেশে নানামাত্রিক আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক ও আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এটি মূলত হিন্দি সিনেমা দেশের সিনেমা হলগুলোতে চালানোর ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীভূত ছিল। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সাইমনের বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর আপত্তি ‘হিন্দি’ নয়, যেকোনো বিদেশি ভাষার ছবির বিরুদ্ধেই।
এমন দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য আমাদের দেশে বেশ পুরোনো। বিষয়টি অনেকটা এমন হয়ে গেছে যে, দেশি ভাষার চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে বিদেশিকে রুখতেই হবে। অর্থাৎ, এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি করতে ব্যাপকভাবে সক্ষম বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র। এর আগমন ঠেকানো গেলেই যেন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের শনৈ শনৈ উন্নতি হবে! যদিও এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা গত কয়েক বছরে একই রকম আছে। খুব বেশি এগিয়ে যাওয়ার চিত্র চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও সরবরাহ করতে পারবেন বলে মনে হয় না।
এর মূল কারণ হলো—১. সৃষ্টিশীলতাজাত, ২. অর্থনৈতিক এবং ৩. উপস্থাপনগত সমস্যা। বর্তমানে দেশের চলচ্চিত্র জগতে অর্থ লগ্নি বেশ বুঝেশুনেই করা হয়। লোকসানি খাত ধরে নিয়েই যেহেতু লগ্নি করা হয়, সেহেতু লগ্নির পরিমাণ কম থাকে। এ ছাড়া সিনেমা যেসব হলে দেখানো হয়, সেসবের পরিবেশ নিয়েও আছে হাজারো প্রশ্ন। এসব সমস্যা নিয়ে আগেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বটে। কিন্তু সমাধান যে খুব একটা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যাটির সমাধান নিয়েই কাজ হয়েছে হাতেগোণা। সেটি হলো সৃষ্টিশীলতার অভাব। আমরা যে ধরনের গল্পে ও প্রযুক্তিতে কর্মাশিয়াল ছবি তৈরি করে থাকি, সে ধরনের ছবি দিয়ে আর যা-ই হোক এই ওটিটির যুগে বাজার ধরা খুবই কঠিন। চৌধুরী সাহেবকে ঝাড়ি দিয়ে বলা ডায়লগে এখন আর দর্শকেরা খুব একটা হাততালি দেন না।
ধনীর মেয়ের সঙ্গে নৌকার মাঝির প্রেম নিয়ে তৈরি সিনেমা কয়জনই-বা টিকিট কেটে দেখতে যাবেন? কিংবা গোঁজামিল দেওয়া গল্পে গোত্তা খাওয়া দর্শকমনকে আর কতদিনই-বা সেই একই ফর্মুলার বিনোদন দেখতে বলা যায়? বরং সেসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলই হয় বেশি। এক কথায়, ট্রলই যেন বর্তমান মূলধারার চলচ্চিত্র শিল্পের একমাত্র অর্জন!
তাই বলে কি দেশে একেবারেই ভালো ছবি হচ্ছে না? হচ্ছে। তবে তা হাতের কর গুণে বলে দেওয়া যায়, সংখ্যায় এতটাই নগণ্য! সেটিও অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক বাণিজ্যিক ঘরানা বলতে যা বোঝায় (অন্তত আমাদের দেশে), তেমন নয়। সেগুলো ব্যবসাও করছে। হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রে বলাই যায় ‘প্রিয়তমা’র কথা। এটি ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ছবি। বেশ ব্যবসাও করেছে। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে, কনটেন্টের ক্ষমতার দিকটি বিবেচনা করলে এই ছবি অনেকটাই পিছিয়ে। আমরা কারণ হিসেবে বাজেটের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করতেই পারি।
কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশের মালায়লম বা কন্নড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দিকে যদি নজর দেন, তবে দেখবেন কম বাজেটেও ভালো ভালো সিনেমা সেখানে তৈরি হচ্ছে। কেবল গল্পের জোরেই অনেক প্রযুক্তিগত ঘাটতি ঢেকে দেওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ, আমাদের আগে প্রয়োজন মৌলিক ও শক্তিশালী গল্প। সেই অনুযায়ী চাইলে বাকি অনুষঙ্গে কিছুটা ঊনিশ-বিশ করাই যায়। কারণ স্বাভাবিকভাবেই সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে উন্নতি সাধন কিছুটা কঠিন। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ভিত্তিটাই সৃদৃঢ় করতে পারছি না। কারণ আমরা ভাবছি অন্যের ছক অনুযায়ী। আমরা সিনেমা বানানোর সময়ই ঘোষণা দিচ্ছি যে, ‘কেজিএফ’ বা ‘পুষ্পা’র মতো সিনেমা বানানোর ইচ্ছার কথা। যদিও মনে রাখা প্রয়োজন, এসব সিনেমা তৈরিও একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ। এক তলা থেকে এক লাফে তো আর ছয় তলায় উঠে যাওয়া যায় না! অবশ্য যে অঞ্চলে শর্টকাটে বড়লোক হওয়া দক্ষতার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় প্রায় সময়, সেখানে এমন স্বপ্ন দেখা দোষের কিছু নয়।
ওপরের কারণগুলো বাদ দিলেও বলতে হয়, বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রকে রুখে দেশীয় চলচ্চিত্রের বাজার চাঙা করার উপায় নেই। কারণ বিশ্বায়নের যুগে এ দেশের দর্শকদের চোখও এখন ওটিটি দেখে দেখে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছে। তাই তাদের চোখ বেঁধে রাখার উপায় আর নেই। একটু হিসাব নেওয়া যাক। এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৯ সালেই বাংলাদেশে শুধু নেটফ্লিক্সের নিবন্ধিত গ্রাহক ছিল ২ লাখ। করোনার সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের উপস্থিতি ভীষণভাবে বেড়েছে। এই সময়ে বিনোদনমাধ্যমগুলোর মধ্যে ওটিটির দাপট বেড়েছে সব দেশে।
পরিসংখ্যানভিত্তিক মার্কিন ওয়েবসাইট স্ট্যাটিস্টার দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে শুধু এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলেই নেটফ্লিক্সের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৫ কোটি মার্কিন ডলারে। মনে রাখা জরুরি যে, এ শুধু একটি ওটিটির কথা বলা হচ্ছে। ওটিটির দুনিয়ায় এখন বহু প্ল্যাটফর্ম, যারা নানা ভাষা ও দেশের কনটেন্ট নিয়ে এক বাটনের দূরত্বে অপেক্ষা করছে।
আপনি বিদেশি ভাষার সিনেমা যদি হলে মুক্তি নাও দেন, তবু উপযুক্ত দর্শকেরা তা খুঁজে নেবেই কোনো না কোনো উপায়ে। আর সাফটা চুক্তিই হোক, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনার ছবিই হোক, কিংবা আমদানি করেই হোক—যে উপায়েই বিদেশি ভাষার ছবি আসুক না কেন, সেগুলোকে এ দেশের সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই মুক্তি দিতে হয়। নিয়ম-কানুনে তাই আছে। সেটির ব্যত্যয় হলে ব্যবস্থা নেওয়াই যায়। কিন্তু বিদেশি ভাষার সিনেমার মুক্তি আটকে দিয়ে আসলে দেশে তৈরি সিনেমার বাজার পুণরুদ্ধার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ সংরক্ষণবাদী উপায়ে কখনোই আত্মোন্নয়ন হয় না। এবং সেটি না হলে আদতে কখনোই প্রতিযোগিতায় সুবিধা করা যায় না।
আমরা কিন্তু চলচ্চিত্রের জগতে একটা দীর্ঘ সময় সংরক্ষণবাদীই ছিলাম। সিনেমা হলে বিদেশি সিনেমা আসা একসময় একেবারে বন্ধই ছিল। কিন্তু তাতে কি লাভ হয়েছে? ভিসিআর-ভিসিপি বা ক্যাবল সংযোগে বিদেশি সিনেমার বিস্তার কিন্তু রোধ করা যায়নি। উল্টো দেশের একটা বড় অংশের দর্শক, যাদের ভিসিআর-ভিসিপি বা ক্যাবল সংযোগ কেনার আর্থিক সামর্থ্য ছিল না, তাদের যে চলচ্চিত্রই দেখানো হয়েছে, তাই দেখতে বাধ্য হতে হয়েছে। আর যখন তাতেও দর্শক টানা যায়নি, তখন এ দেশের চলচ্চিত্রে এসেছে অশ্লীলতার যুগ। ঢালিউডে কেন অশ্লীলতা থাবা বিস্তার করেছিল বা করতে পেরেছিল—সেই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজলেই কিন্তু সংরক্ষণবাদের ভয়াবহতা অনুধাবন করা সম্ভব।
এখন যদি প্রতিযোগিতা করা নিয়েই এ দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের আপত্তি থাকে, তবে ভিন্ন কথা। সেক্ষেত্রে সেটি স্পষ্টভাবে স্বীকার করে নেওয়াই ভালো। এতে নিজেদের ঘাটতি ও সৃষ্টিশীলতার অভাবের বিষয়টিও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেওয়া হবে। এবং সেই সাথে প্রবল পরাক্রমের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মান দিয়ে প্রতিযোগিতা করার সাহসও যে আমাদের নেই—সেটিও প্রমাণিত হয়ে যাবে। কারণ ‘বিগ বাজেটের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারব না’—এমন হাস্যকর যুক্তির পক্ষে দাঁড়ালে, ভারতের বলিউডের বিপরীতে তেলেগু, মালায়লম বা কন্নড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার সত্য কাহিনি যে মিথ্যা হয়ে যায়। যদিও সেই কাহিনি দর্শকদের চোখের সামনেই বাস্তব রূপ পেয়েছে।
মোদ্দা কথা হলো, বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র ঠেকালেই যে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প টিকে থাকবে এবং উন্নতি করবে, সেই নিশ্চয়তা বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে নেই একেবারেই। মনে রাখতে হবে, অতিকায় হাতি বিলুপ্ত হওয়ার সময়ও অতিকায়ই থাকে। আর তেলাপোকা মহাকালজুড়ে টিকে থাকলেও তাকে ক্ষুদ্রকায় হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। এখন আপনি তেলাপোকাই থাকবেন, নাকি বিবর্তিত হয়ে অতিকায় হাতির রূপ নিতে এগোনোর চেষ্টাটা অন্তত করবেন—সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার!
লেখক: উপবার্তা সম্পাদক, ডিজিটাল বিভাগ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
এ এস/
Discussion about this post