চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহত দুই পাইলটের একজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আমিম জাওয়াদ নগরীর পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহরুল হক ঘাঁটিতে অফিসার্স আবাসিক এলাকায় থাকতেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর রাশিয়ান প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াইএকে-১৩০ কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানটির পেছনে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। সেটি পতেঙ্গা বোট ক্লাবের কাছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের বিপরীতে এইচ এম স্টিল মিলের সামনে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায়।
বিমানটিতে দুইজন পাইলট ছিলেন, উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আমিম জাওয়াদ। আহত সোহান বর্তমানে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে তাদের নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে যেতে সক্ষম হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর বিষয় আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
এ এস/
Discussion about this post