বিবাদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশ ইরান ও পাকিস্তান। দুই দেশের সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশ নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতকে তাদের কর্মস্থলে পাঠাবে। ২৬ জানুয়ারি তারা নিজেদের কর্মস্থলে ফিরবেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানির আমন্ত্রণে ২৯ জানুয়ারি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ইসলামাবাদ সফর করবেন। ইরান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গেল ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানি ভূ-খণ্ড বেলুচিস্তান প্রদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল আদলের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে দুই দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জেরে পাকিস্তান তেহরানে নিযুক্ত নিজের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইসলামাবাদে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তানে ঢুকতে নিষেধ করে। কার্যত ইরানের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান।
আকস্মিক এসব ঘটনায় ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অভিযানের মধ্যে দুই মুসলিম দেশের এই উত্তেজনা আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইরান ও পাকিস্তান দ্রুত আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রসুল মৌসাভি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা সমাধানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেষ আশ্রয়স্থল। দুই দেশের নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জানেন যে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা থেকে শুধু সন্ত্রাসী ও শত্রুরা লাভবান হবে।
তার ওই পোস্টের জবাব দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি। তিনি তার ইরানের পররাষ্ট্র সচিবকে ‘প্রিয় ভাই’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
এফএস/
Discussion about this post