বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রীসাধারণকে ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত ১২ দফা দাবি আদায়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষের (বেবিচক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াকে স্মারকলিপি দেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ যাত্রীসাধারণকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করেন এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি, বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ও সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন, বিগত ১৬ বছরে বেবিচকের যে সকল চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারী জোটবদ্ধভাবে কর্র্তৃপক্ষের স্বাভাবিক কাজে বাধাদানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে পত্র প্রেরণ ও তদবিরসহ কর্র্তৃপক্ষের কাজে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়ে সার্বিকভাবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠা, যাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের পদোন্নতি প্রদান এবং যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, বর্তমানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের পূর্বেই বিগত ৫ বছরে যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও শুধুমাত্র গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে চাকরি পাননি তাদের তালিকা করে নিয়োগের ব্যবস্থা, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নাম পূর্বে যা ছিল তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর’ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বেবিচকের যোগ্য কর্মকর্তাদের কর্র্তৃপক্ষের ‘সদস্য’ পদে নিয়োগের বিধান চালু, নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সিভিল এভিয়েশনের সকল পদে কর্র্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন নিশ্চিত এবং নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আবাসন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো সংক্রান্ত বিদ্যমান অসঙ্গতি দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
টিবি
Discussion about this post