থাইল্যান্ডে নিজের বিয়ের আসরে গুলি করে কনেসহ আরও তিনজনকে হত্যা করেছেন বর। ঘটনার পর ওই বর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দেশটির প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও সাবেক সেনা সদস্য।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে চাতুরং সুকসুক নামের ২৯ বছর বয়সী নারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্যারা-অ্যাথলেট ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ৪৪ বছর বয়সী কাঞ্চনা পাচুনথুয়েকের। এক পর্যায়ে বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান পাচুনথুয়েক এবং বন্দুক নিয়ে ফিরে আসেন। এরপরই সদ্য বিবাহিত স্ত্রী, শাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পাচুনথুয়েক। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
এ সময় বিয়েতে আসা দুই অতিথিও গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা একজনের প্রাণহানি ঘটে।
বিবিসিকে থাই পুলিশ বলেছে, বিয়ের সময় চতুরং নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তিনি গত বছর বৈধভাবে বন্দুক ও গোলাবারুদ কিনেছিলেন।
আগত অথিতিদের বরাত দিয়ে থাই সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে নব দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। চাতুরং তার ও কাঞ্চনার মধ্যে বয়সের ব্যবধান নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন। তবে পুলিশ বলছে, এটি অনুমাননির্ভর কারণ। প্রকৃত কারণ উদঘাটনের প্রয়োজনীয় প্রমাণ ইতিমধ্যে তারা সংগ্রহ করেছেন। থাই মিডিয়ার ভাষ্যমতে, বিয়ের আগে চাতুরং এবং কাঞ্চনা তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন।
থাইল্যান্ডের সীমান্তে টহলরত আধাসামরিক বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি কোরের সদস্য ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ডান পা হারিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডে নির্বিচার গোলাগুলির ঘটনা বিরল হলেও বন্দুকের মালিকানা একটি সাধারণ বিষয়।
গত মাসে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল শপিং মলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। গত অক্টোবরে দেশটির পুলিশের সাবেক এক সদস্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি নার্সারিতে বন্দুক ও ছুরি হামলা চালিয়ে ৩৭ শিশুকে হত্যা করেন।
Discussion about this post