দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। তাদের ছাপিয়ে ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলাফল ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হচ্ছেন কারা।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে।
জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিটা আমি কেন আপনাকে বলবো? নতুন সরকার বসুক। সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
এরপর তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অনেকেই জিতেছেন, চৌদ্দ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি লিডার অব দ্যা হাউজ হবেন, তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অব দ্যা হাউজ; পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় করণীয় নিয়ে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি, তারা নির্বাচিত। তাই নির্বাচিত সদস্য হিসেবেই সংসদে বসবেন এবং নিজেদের ভূমিকা পালন করবেন তারা। এছাড়া অন্য কিছু এই মুহূর্তে ভাববার অবকাশ নেই।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তিনি বলেন, এটা স্বীকৃতির জন্য নয়। আমাদের ইলেকশনটা কেমন হয়— আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানতে চায়। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমাদের এই কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না, গণতান্ত্রিক বিশ্ব সেটা প্রত্যক্ষ করুক— সেজন্য আমরা এটা করেছি।
এফএস/
Discussion about this post