বিশাল রাজকীয় প্রাসাদ, সামনেই মার্বেলের তৈরি রাস্তা ও নান্দনিক বাগান। অসংখ্য পানির ফোয়ারা। এ যেন এক রূপকথার রাজ্য, বিলাসবহুল বাড়িটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেলকুবের প্রেসিডেন্ট আল-নাহিয়ান পরিবারের। প্রাসাদটি আবুধাবির সোনালী কাসর আল-ওয়াতান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ নামে পরিচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কয়েকটি প্রাসাদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। প্রায় ৯৪ একরজুড়ে বিস্তৃত ও বৃহৎ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রাসাদে ৩ লাখ ৩৫ হাজার স্ফটিকের তৈরি ঝাড়বাতি রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী পরিবার। তাই এই পরিবার নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও শেষ নেই। এই পরিবারের প্রধান হলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, যিনি মোহাম্মদ বিন জায়েদ নামেও পরিচিত। এই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৬ জন । আল নাহিয়ানরা ১৮ ভাই ও ১১ বোন। এছাড়া তার ৯ সন্তান ও ১৮ নাতি-নাতনি রয়েছে।
আমিরাতের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া পরিবারটির রয়েছে আটটি ব্যক্তিগত জেট বিমান ও একটি ফুটবল ক্লাবের মালিকানা।পরিবারটির সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে ৭শ টিরও বেশি গাড়িবহর । যার মধ্যে রয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এসউভিসহ পাঁচটি বুগাতি ভেরন, একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর, একটি ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স ও একটি ম্যাকলারেন এমসি ১২।
তালিকায় আরো রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব, ইলন মাস্কের স্পেস এক্সসহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কোম্পানির অংশীদারিত্ব । এই রাজপরিবার বিশ্বের প্রায় ছয় শতাংশ তেলের মালিক। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও দুবাইয়ের রাজপরিবারের সদস্যরা প্যারিস ও লন্ডনসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে সম্পদ রয়েছে।২০১৫ সালে নিউইয়র্কের এক প্রতিবেদন অনুসারে, দুবাই রাজপরিবারের যে সম্পদ রয়েছে তা ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পদের সমান।
গত ডিসেম্বরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ২৫ পরিবারের একটি তালিকা প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। প্রকাশিত তালিকায় প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনী পারিবারের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে আরব আমিরাতের আল নাহিয়ান পরিবার। এক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলেছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন পরিবার ওয়ালটনকে।
এ এস/
Discussion about this post