পৃথিবীর ইতিহাসে যুগে যুগে বহু সামুদ্রিক প্রমোদতরী যাত্রা করেছে। পৃথিবীর ধারণাকালীন ইতিহাসের মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় জাহাজ তৈরি হয়েছে যা ‘আইকন অব দ্য সিস (Icon of the Seas)’ নামে পরিচিত।
যে টাইটানিক জাহাজ বিশ্বে বিস্ময় ও ইতিহাস হয়ে আছে তার চেয়ে ১৩ গুণ বড় এই জাহাজ। অর্থাৎ বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ এটি। ফিনল্যান্ডের এক শিপইয়ার্ডে তৈরি হওয়া একটি জাহাজ শিগগির বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে।
বিশাল এই জাহাজটির ওজন ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০ টন। অর্থাৎ, দুটি সিএন টাওয়ারকে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টার সঙ্গে একে তুলনা করা যায়। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১২০০ ফুট। এই জাহাজটি ৫ হাজার ৬১০ যাত্রী ও ২ হাজার ৩৫০ ক্রু সদস্য অর্থাৎ মোট ৭ হাজার ৯৬০ যাত্রী পরিবহণে সক্ষম।
আগামী ২৭ জানুয়ারি বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের বৃহত্তম এ ক্রুজ জাহাজ। । এটি আমেরিকার ফ্লরিডার মায়ামি থেকে যাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। প্রথম ভ্রমণের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব এবং পশ্চিম পথ ধরে নিয়মিত এক সপ্তাহের একেকটি সফর করার কথা ক্রুজ শিপটির। বাহামায়, কোকোকে নামে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান সংস্থার নিজস্ব একটি দ্বীপ আছে। সাত রাতের এক রাতে অতিথিদের সেই স্থানেও নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে এর নির্মান কাজ শুরু হয়। ২০২২-এর এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির ট্রায়াল রান হয়। ট্রায়াল রানে আইকন অব দ্য সিস কয়েকশ মাইল পথ ভ্রমণ করেছে। সেই সময় প্রধান ইঞ্জিন, হল, ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ এবং কম্পন ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ চার দিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজটিকে সমুদ্রযাত্রার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্যই এর ওয়াটার পার্ক। এখানে থাকছে ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। এর মধ্যে একটি ‘ওপেন ফ্রি-ফল স্লাইড’, একটি ‘ফ্যামিলি রাফ্ট স্লাইড’ এবং দুটি ‘ম্যাট-রেসিং স্লাইড’। জাহাজটিতে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের কেবিন থাকছে। ৮২ শতাংশ কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবেন।
ভিডিও সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন।
এ জেড কে/
Discussion about this post