বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়লেও বুধবার তা ছড়িয়েছে প্রায় সারা দেশেই। এতে টানা কয়েক দিনের তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরম থেকেও মুক্তি মিলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবারও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরতে পারে।
দেশের আট বিভাগের কোথাও কোথাও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে। শুক্রবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি আবার কমতে পারে। তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে এদিনও বৃষ্টি বেশি থাকতে পারে।রংপুর বিভাগে তিন দিন নদ-নদীর পানি বাড়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এতে তিস্তা অববাহিকাসংলগ্ন চরাঞ্চল বা নিচু জমি প্লাবিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রংপুর বিভাগে তিন দিন নদ-নদীর পানি বাড়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সাময়িক সময়ের জন্য বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে। এতে তিস্তা অববাহিকাসংলগ্ন চরাঞ্চল বা নিচু জমি প্লাবিত হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও আমরা তেমন কোনো ঝুঁকি দেখছি না।
এম এইচ/
Discussion about this post