রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া সাপ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে যতো সাপ দেখা যায় এর মধ্যে এ সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত। দিন দিন মৃত্যু তালিকা বাড়িয়েই চলছে এ সাপ। গত এক থেকে দের মাসে অহরহ মৃত্যুর খবরে পুরো দেশেই এখন আলোচনার বিষয় রাসেলস ভাইপার। এ সাপের মুখোমুখি হচ্ছেন দেশের বহু জেলার মানুষ, একের পর এক দংশনে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই।
অ্যান্টি ভেনম নেয়ার পরেও দংশনের ২৫ দিন পর রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। এ সাপ এতোটাই বিষাক্ত যে সেকেন্ডেরও ১৬ ভাগের এক ভাগ সময়ে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে। চোখের পলকেই তীব্র বেগে ছোবল দেয় বলেই মানুষ সাথে সাথে বোঝে উঠতে পারেনা। এ সাপের কামড়ে শরীরে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, রক্ত জমাট বাধা, স্নায়ু অকেজো হয়ে যাওয়া, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা দেয়।
এই সাপের কামড়ের কিছুক্ষণ পরেই দংশিত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথার পাশাপাশি দংশিত স্থান দ্রুত ফুলে যায়। এছাড়া ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দংশিত স্থানের আশেপাশে সহ শরীরের আরও কয়েকটি অংশ ফুলে যেতে থাকে। দ্রুত চিকিৎসা না করালে রক্তচাপ কমে যাওয়া, কিডনি অকার্যকর হয়ে যাওয়া সহ নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে থাকে।
রাসেলস ভাইপারের দেহ সাধারণত মোটাসোটা থাকে, লেজ ছোট ও সরু আকারের। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিকোণাকার। মাথার তুলনায় ঘাড় অনেকটাই সরু। শরীরের রঙ বাদামী, হলদে বাদামী কিংবা কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনো পাতার মধ্যে সহজেই নিজেকে আড়াল করতে পারে এ সাপ। সাপের গায়ে রয়েছে গাড় বাদামী বা কালো রঙের গোল গোল দাগ। দাগগুলো একসঙ্গে দেখতে শিকলের মতো মনে হয়।
এন এন/
Discussion about this post