কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। ঈদ উপলক্ষ্যে তাই ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়। দিনরাত পরিশ্রম করে কামারশিল্পীরা কোরবানির ঈদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন। দোকানের সামনে সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাংস কাটার সরঞ্জাম। তাদের দাবি, ঈদ উপলক্ষ্যে কাজে দম ফেলার ফুরসত না থাকলেও নেই তেমন বেচাবিক্রি।
কামাররা জানান, এবার চাহিদার জোগান দিতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরি করলেও বিক্রি তেমন নেই। প্রতিবছর এ সময়ে বেচাকেনা জমে ওঠে। কিন্তু এ বছর বিক্রি নেই বললেই চলে। বাজারে দেখা যায়, কামারদের কেউ তৈরি করেছেন নতুন যন্ত্রপাতি, অনেকে শান দিয়ে চকচকে ও ধারালো করছেন গত বছর অবিক্রীত থাকা ছুরি, চাপাতি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বায়নের যুগে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই: প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী
প্রতিটি দোকানেই চলছে মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কর্মযজ্ঞ। বাজারে কেজি প্রতি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। আর চাকু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, যন্ত্রপাতি তৈরির উপাদানের খরচ বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া চাঁদরাতে বেচাবিক্রি বাড়বে বলেও জানান তারা।
কারিগর পরিতোষ বলেন, ‘দিনরাত কাজ করে মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরি করছি। তবে ক্রেতার দেখা নেই।’ এ ছাড়া শেষ সময়ে চাপ বাড়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কামারশালায় আসা ক্রেতারা জানান, কোরবানির সময় হলেই আমরা দা, বটি, ছুরি, চাপাতি ধার দিতে নিয়ে আসি। অনেকে নতুন কিনে নিয়ে যায়।
এ এ/
Discussion about this post