প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশবাসীকে পরিষ্কার করে দিতে চাই, আমরা কারও হুকুমে, কারও নির্দেশনায় আমরা কাজ করব না। কেউ যদি মনে করেন ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবেন, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাবো, তারা দিবাস্বপ্নে আছে। রোববার (১৫ জুন) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম,এখন নতুন সময়সূচি এসেছে। আমাদের কাছে যে কপি এসেছে তা স্বাক্ষরিত নয়, তাই অফিসিয়ালি কোনো কাগজ আসলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নেব।
সিইসি বলেন, এখন নরমালি বিবেচনা করলে হবে না। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি। বিশেষ পরিস্থিতি বিশেষ ধরণের সরকার। শাসনতন্ত্র যেটা আছে সেটা হলে তো সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে করে ফেলতে পারতাম। যেহেতু এখন বিশেষ ধরনের সরকার, বিশেষ পরিস্থিতি, সরকার সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করছে। বিচার হচ্ছে, সেটা যেন ত্বরান্বিত হয় সে আলোচনাও করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, কোনো দলীয় স্বার্থে নয়, নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন এটা কর্মকর্তাদের আজ বলেছি। জাতির উদ্দেশে বলতে চাই কেউ যদি মনে করেন ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবেন, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাবো, তারা দিবাস্বপ্নে আছে। এটা এবার হতে দেবো না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সবাই সুন্দর নির্বাচন চায় বলছে। তাহলে আমাদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব কেন? কিছু লোক আছে যারা মতলববাজ, নির্বাচন আসলে পথ থেকে ভোটারদের সরিয়ে দেবে, ভোট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবে, সেই সুযোগ এবার পাবে না। এটা আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
রোডম্যাপ কবে দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, লন্ডনে যা আলোচনা হয়েছে এর বাইরে আমার কোনো নলেজ নেই। প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন আমি মিডিয়ায় দেখেছি। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো আলোচনা হয়নি। আমারা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি, যখনই হয় যেন ভোট করতে পারি। সরকারের সঙ্গে আলোচনা ভাব বুঝতে পারবো কখন ডেট দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইয়ঙ্গার জেনারেশনকে ভোটাধিকারের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছি। তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা রেডি থাকতে হবে। এজন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা ভাবছি৷ যথাসম্ভব চেষ্টা করবো তরুণ প্রজন্মকে যাতে যুক্ত করা যায়। তফসিল ঘোষণার সময় তরুণদের ভোটারযোগ্য হতে হবে।
এম এইচ/
Discussion about this post