ঢাকার ধামরাই থানা সংলগ্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সেজে এক সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বরাত নগর এলাকায় ধামরাই থানার পাশে দৈনিক কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি ও ধামরাই প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু হাসানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কালো রঙের বোরখা পরিহিত দুই নারী, ১৬-১৭ বছর বয়সী এক যুবক ও এক শিশু আবু হাসানের বাড়িতে আসেন। এ সময় বাড়িটিতে সাংবাদিকের ছেলে মোহাম্মদ তানভীর একাই ছিলেন। তারা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাড়িটি দেখাতে বলেন। তানভীর তাদের বাড়ি দেখানোর পর ভাড়া নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে যুবকটি তার মুখে চেতনানাশক মেশানো রুমাল চেপে ধরেন। এতে তানভীর অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর দুর্বৃত্তরা বাড়িটির পাঁচটি কক্ষের আলমারি, ওয়ারড্রব ও সিন্দুক ভেঙে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা লুট করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তানভীরের বন্ধুরা ঘুরতে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তার জ্ঞান ফেরে।
তানভীর বলেন, “কালো রঙের বোরখা পরিহিত দুইজন নারী, একজন যুবক ও এক শিশু ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়ি দেখানোর পর ভাড়া নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে চেতনানাশক কোনো কিছু দিয়ে তারা আমাকে অজ্ঞান করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর আমার জ্ঞান ফেরে। এসময় আমাকে খুঁজতে আসা আমার দুজন বন্ধুকে আমার পাশে দেখতে পাই।”
বাড়ির মালিক আবু হাসান বলেন, “ঘটনার সময় আমার ছেলে একা বাসায় ছিল। দুপুরে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি বিভিন্ন কক্ষের আলমারি, ওয়ারড্রব, সিন্দুক ভেঙে দুর্বৃত্তরা নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “থানা সংলগ্ন আমার বাড়ি। এখানেও যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আমি আশা করবো পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবে।”
ধামরাই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সম্ভবত অজ্ঞান পার্টির লোকজন ওই বাসায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঢুকে সাংবাদিক আবু হাসানের ছেলেকে অজ্ঞান করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন দুর্বৃত্তরা তার বাসার আলমারি, ওয়ারড্রব খুলে প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা মামলা নিচ্ছি। পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”
এ ইউ/
Discussion about this post