আহমেদাবাদের নীল সমুদ্রে আজ শুধুই হলুদের গর্জন হলো। রোহিত, কোহলিদের কাঁদিয়ে হেক্সা মিশন পুরন করলো মাইটি অস্ট্রেলিয়। ফাইলানে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে গোটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখানো ভারতকে।
এদিন অস্ট্রলিয়ার প্রতিপক্ষ শুধু ভারতের ১১ ক্রিকেটারই নয়, ছিল স্টেডিয়ামে আগত ১ লাখ দর্শক। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, ‘এখানে যে একপেশে দর্শক উপস্থিত থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে বিশাল সংখ্যক এই দর্শকদের চুপ করে দিতে পারার চেয়ে তৃপ্তিময় আর কিছু নেই। এবারের বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অজিরা। তাতে টানা ১০ ম্যাচ জেতার পর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ভাসলো রোহিত শর্মারা।
টসে হেরেও ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করছিল ভারত। রোহিত শর্মার ছোট ঝড়ে প্রথম ১০ ওভার ছিল তাদের দাপট। তারপর বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে এই বিশ্বকাপে উজ্জ্বল নক্ষত্রে রূপ নেওয়া ডানহাতি ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও করেন। তার বিদায়ের পর থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। থামতে হয়েছে ২৪০ রানে।
জবাব দিতে নেমে খুব একটা স্বস্তির শুরু হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। যশপ্রীত বুমরার জোড়া আঘাতে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তারপর ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন নিষ্ক্রিয় করে দেন ভারতের পেস আক্রমণ। মোহাম্মদ শামি, বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজদের ওপর চড়াও হন তারা। কুলদীপ যাদবও ঘূর্ণিতে জাদু দেখাতে পারেননি। হেড ও লাবুশেন দেড়শ ছাড়ানো জুটিতে জয়ের পথ তৈরি করে দেন। তারা দুজনেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার পথে ছিলেন। কিন্তু লক্ষ্য থেকে দুই রান দূরে থাকতে আউট হন হেড, ১২০ বলে ১৩৯ রান করেন তিনি। ১৯২ রানের জুটি গড়েন দুজন। লাবুশেন ১১০ বল খেলে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দুই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ৪৩ ওভারে ২৪১/৪ (লাবুশেন ৫৮*, ম্যাক্সওয়েল ২*, হেড ১৩৭, স্মিথ ৪, মার্শ ১৫, ওয়ার্নার ৭)
ভারত ৫০ ওভারে ২৪০/১০ (সিরাজ ৯*, কুলদীপ ১০, বুমরা ১, সূর্যকুমার ১৮, শামি ৬, রাহুল ৬৬, জাদেজা ৯, গিল ৪; রোহিত ৪৭, আইয়ার ৪, কোহলি ৫৪)
Discussion about this post