মালদ্বীপে ভারতীয় সৈন্য রাখতে চান না নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোহামেদ মুইজ। তিনি ইতোমধ্যে বিষয়টি আলোচনা শুরু করেছেন। কথাও বলেছেন গণমাধ্যমে।
তিনি বলেন, “মালদ্বীপের মাটিতে কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনী অবস্থান করুক, আমরা সেটা চাই না মালদ্বীপের জনগণকে আমি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং ক্ষমতার গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই আমি সেটি পালন করবো।”
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিস্টার মুইজের বিজয়ী হওয়াকে ভারতের জন্য একটি ধাক্কা হিসাবেও অনেকে মন্তব্য করেছিলেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কয়েকদিন পরেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করেছেন এবং “তাকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতীয় প্রতিটি সৈন্যের মালদ্বীপ
থেকে চলে যাওয়া উচিৎ। নির্বাচনে যে জোটটি মিস্টার মুইজেকে সমর্থন দিয়েছে, তারা সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিস্টার সোলিহ’র “ইন্ডিয়া ফার্স্ট” নীতিকে মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে তিনি।
এ অবস্থায় মালদ্বীপ থেকে যদি ভারতীয় সৈন্যদের সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়, তাহলে সেটি হবে দিল্লির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
কারণ ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মালদ্বীপের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ্ নির্বাচনে মিস্টার মুইজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, ভারতের সাথে দেশটির ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন।
মিস্টার মুইজের এই জোট চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে। চীন ইতিমধ্যেই অবকাঠামো ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ এবং অনুদান হিসেবে মালদ্বীপে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
অন্যদিকে, ভারতও দেশটিকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। কারণ তারা ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নজরদারিতে কৌশলগত জায়গা থেকেই মালদ্বীপে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চায়।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মালদ্বীপের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিস্টার সোলিহ্ বলেন, ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি আসলে অতিরঞ্জিত।
তিনি বলেন, “মালদ্বীপে বিদেশি সামরিক বাহিনীর কোন সক্রিয় সদস্য নেই। বর্তমানে এখানে যেসব ভারতীয় ব্যক্তিরা অবস্থান করছেন, তারা সবাই মালদ্বীপ জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীনে কাজ করছেন।”
Discussion about this post